প্রকাশিত: Mon, Jun 12, 2023 11:09 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 11:45 PM

ভারতের মণিপুরে যুদ্ধরত গোষ্ঠীর মধ্যে আটকে পড়েছে মুসলমানরা

ইমরুল শাহেদ: এক মাসের বেশি সময় ধরে দুটি উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে আটকা পড়া মুসলমানদের বাড়িঘর। নিরাপত্তার জন্য তারা ঘরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। আল-জাজিরা

শামীম সাহনি নামের একজন নারী জানান, ঘরের বাইরে বসে কয়েকজন প্রতিবেশিসহ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রেডিও শুনছিলেন। এ সময় তাদের প্রায় মাথার কাছ দিয়েই একটি গুলি চলে যায়। তিনি দ্রুত ঘরে চলে যান। 

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের বিষনোপুর জেলায় ২৫ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী - একটি সাত বছরের পুত্র সন্তান, আরেকটি হামাগুড়ি দেওয়া কন্যা সন্তান। প্রতিদিনই গুলির কারণে সবাই এবড়ো-থেবড়ো ছুটে যে যার আশ্রয়ে চলে যান। 

তারা গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমাদের কেউ কেউ খাটের নিচে, কেউ কেউ মসজিদে আশ্রয় নিেেয়ছি। তখন ছিল রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা। আমরা এসব আশ্রয় থেকে বেরিয়ে আসি পরদিন সকালে।’

সকালে ঘরে ফিরে সাহনি এবং তার স্বামী দেখতে পান ঘরের দরজায় বেশ কিছু গুলির চিহ্ন। সাহনি বলেন, ‘আমরা ঘরে ঢুকতে চাইছিলাম না। কিন্তু উপায় কি, যাব কোথায়?’

সাহনিদের বাড়ির এক পাশে থাকে মেইতিসরা এবং কাছাকাছি আরেক পাশে থাকে কুকিরা। এই এলাকায় প্রায় আট হাজার মুসলিম রয়েছে। স্থানীয় হিসাব অনুসারে এখানে বাস করে প্রায় ২০ হাজার মেইতিস পানগালস। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩ মে’র পর থেকে এ পর্যন্ত গোলাগুলিতে প্রায় ১০০ লোক নিহত হয়েছেন এবং ৩১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৪০ হাজার মানুষ হয়েছেন বাস্তুচ্যুত। ভারতের প্রান্তিক অঞ্চলের এই রাজ্যে হিন্দু মেইতেই পানগালস এবং খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বী কুকিসদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে রাজ্যটি অশান্ত হয়ে উঠেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব